ভিটামিন-সি, যাকে আমরা আসকরবিক অ্যাসিড বলি, শুধু লেবু বা কমলার ভিতর লুকানো একটা উপাদান না—এটা আসলে শরীরের মাল্টি-ট্যালেন্টেড সুপারহিরো।
চলুন দেখি, এই ছোট্ট অণুটি কিভাবে একাই করে ফেলে বিশাল বিশাল কাজ!
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে — ROS ধ্বংসকারী
আপনার শরীর যখন শক্তি তৈরি করে, তখন কিছু Reactive Oxygen Species (ROS) তৈরি হয় — যেগুলো ক্ষতিকর।
ভিটামিন-সি এসে বলে:
“এই দুষ্ট ইলেকট্রনগুলোকে শান্ত কর!” (jokes Apart)
তাদের ইলেকট্রন দেয়, আর বিষাক্ত ROS হয়ে যায় নিরীহ পানি বা অক্সিজেন।
২. কোলাজেন তৈরিতে — শরীরের সিমেন্ট মেশিনার
কোলাজেন হলো সেই প্রোটিন, যেটা ত্বক, হাড়, ও রক্তনালির গাঁথুনি করে।
ভিটামিন-সি না থাকলে কোলাজেন তৈরির এনজাইম কাজ করতে পারে না।
ফলে শরীর হবে “জেলির তৈরি বাড়ি” — ভেঙে পড়বে খুব সহজে!
৩. ইমিউন সিস্টেমে — সাদা রক্তকণিকার ক্যাপ্টেন
ভিটামিন-সি:
- নিউট্রোফিলকে পাঠায় ইনফেকশনের জায়গায়
- বাড়ায় মাইক্রোব খাওয়ার ক্ষমতা
- অতিরিক্ত ROS থেকে কোষকে বাঁচায়
- ম্যাক্রোফেজকে দেয় পরিষ্কারের টুলস
এমনকি টি ও বি সেলও আরও স্মার্ট হয়ে যায়।
৪. ত্বক ও ক্ষত সারে — শরীরের প্লাস্টার ম্যান
ভিটামিন-সি এপিথেলিয়াল কোষ তৈরি করে, নতুন রক্তনালি গঠন করে, আর ক্ষত দ্রুত সারায়।
ভিটামিন-এ এর সাথে টিমওয়ার্ক করেও কাজটা করে দারুণভাবে!
৫. মস্তিষ্কের মিস্ত্রি
- নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করে
- স্নায়ুকে oxidative stress থেকে বাঁচায়
- আয়রন শোষণে সাহায্য করে
মানে, ব্রেইনের nerd ছেলে এই ভিটামিন-সি!
৬. আয়রন শোষণে — মিনারেল ট্যাক্সি
সবজি থেকে আয়রন শোষণ কঠিন।
ভিটামিন-সি আয়রনকে রূপান্তর করে এমনভাবে, যাতে শরীর সহজেই গ্রহণ করে।
৭. বয়স রোধে — প্রাকৃতিক বোটক্স
- UV রে’র ক্ষতি কমায়
- কোলাজেন নষ্ট হওয়া আটকায়
- চামড়া টানটান রাখে